ঈশিতা ভাদুড়ী
অনেকদিন পর আজ ভোর রাতে
আমরা তিন বোন হাত ধরে
হাঁটছিলাম। কতদিন পরে !
রিুঙ্কু আর আমি টিঙ্কুর
দুহাত ধরে দুপাশে হেঁটে
যাচ্ছি ডোভার লেনে কথা
বলতে বলতে, কত কথা !
টিঙ্কু বলছে, অপারেশনটা
হয়ে গেল, এখন আর কোনো
চিন্তা নেই । রিঙ্কু
আমার দিকে তাকাল, আমি
রিঙ্কুর দিকে ।
টিঙ্কু বলছে, আমার তো
আসলে আট তারিখে ফাঁড়া
ছিল...
- বলিস নি কেন রে?
- বলিনি তোমায় ? আমার তো
মনে হয় বলেছি । কি জানি !
মনে হয় বলব ভেবেছিলাম
।
- কিসের ফাঁড়া রে?
- আমি আসলে দেখেছিলাম,
আমাকে যম দড়ি দিয়ে
বাঁধছে ।
- বলিস নি কেন রে?
- কি জানি ! যাক্ গে এখন
তো আমি ভাল আছি । আর তো
কোনো চিন্তা নেই ।
পুপুন কোথায় গো ?
- পুপুন দিল্লীতে আছে ,
চন্দনও , মা আছে ওদের
সঙ্গে , পুপুনের
পরীক্ষা তো তাই ।
- ভালো করেছো । পুপুনের
জন্যে আমার খুব চিন্তা
। ওর লেখাপড়া শেষ না
হওয়া অবধি আমাকে বেঁচে
থাকতেই হবে । চন্দন ওকে
ঠিক বোঝে না ।
ডোভার লেন থেকে কিভাবে
যেন বি পি পোদ্দার
হাসপাতালে গেলাম , কেন
গেলাম তা জানি না ।
আমাদের পেছনে অনেক ভিড়
। সেই সব মানুষেরা সবাই
এসেছে আমাদের সঙ্গে ,
যারা টিঙ্কুকে শ্মশানে
নিয়ে গিয়েছিল ।
হাসপাতালের গেটে ভীষণ
চিৎকার ...
© 2014 - Journey90s | Site Maintained by SristiSukh CMS.